মরার উপর খাড়া যেন চেপে বসল আম্ফান ঃ
গত ২ দিনের ব্যবধানে চেনা গ্রামীন জনপদ অচেনা রুপে.আম্ফানের তান্ডবে লন্ডভন্ড গ্রামীন জনপদ,বাংলাদেশের দক্ষিনের বিভাগ খুলনা ২২ টি জেলার সমন্বয়ে.আম্ফান তান্ডবে খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ,তবে সবচেয়ে যে জেলাটি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ সেটি সাতক্ষীরা.সুন্দরবনের কোল ঘেষে নীবিড় বন্ধনে পরম মমতায় জড়িয়ে রেখেছে.আজ সেই জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেল প্রলংঙ্ককারী ঘূর্নীঝড় আম্ফান.যখন মহামারী করোনার করাল গ্রাসে বিশ্ববাসী আতঙ্কগ্রস্থ তখন প্রাকৃতিক দূর্যোগ আরেক নাম ঘূর্নিঝড় আম্ফান.গ্রামীন হতদরিদ্র মানুষের জীবনে চরম দূর্ভোগ নেমে আসল.সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার ২২ টি জায়গায় বেড়িবাধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত পানি বন্দী হয়ে মানুষ
আম্ফানে ভেসে গেল হোইট গোল্ড খ্যত চিংড়ি ঘেরঃ
দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে হোইট গোল্ড খ্যত চিংড়ী চাষ,সমূদ্রের লোনা পানিতে বিলিন হল অসংখ্য চিংড়ী ঘের,অসহায় দরিদ্র মানুষের মৌসুমের প্রথম চালান আম্ফানের করাল গ্রাসে একাকার.নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো তাদের ভিটা বাড়ীতে পানির কলতান আর প্রকিতির নিদারুন নিষ্ঠুরতার স্কীকারে বলিদান.যে সমস্ত মানুষের চিংড়ী ঘের তলিয়ে গেছে তাদের অপূরনীয় ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ায় আবারও আশায় বুক বেঁধে শেচ্ছাশ্রমে করোনায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বাধ সংস্কার কাজে মিলিত.
সাধারনত দক্ষিন বঙ্গের মানুষ প্রকিতির ভাঙ্গাগড়ার খেলায় নিজেদের মানিয়ে তাদের বেচে থাকার কোন মাধ্যম মনে করে.বছরের পর বছর এই সমস্ত দূর্যোগ তাদের লড়াই করা বারুদ জুগিয়েছে.খেত খামার,পশুপাখি,বসত ভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আবার নতুন করে বাচার ঠিকনায় তারা.
আম্ফানের বর্ননায় মুন্সীগঞ্জের ছলিম শেখের চোখের কোনায় লোনা জলঃ
ছলিম শেখ বলেন প্রকিতির এই নিষ্ঠুরতার খেলায় নিজেদের মানিয়ে নিয়েছি.তবুও মানুষ তো,কত ঝড় বয়ে গেল বাচার জন্য লড়াই চাল চুলাহীন আস্তে আস্তে আবার ঠিক হয়ে যাবে.চিংড়ী ঘের ভেসে গেছে.খোল পেটুয়া নদীর ধারে ৪ সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন ছলিম শেখ,সংসারে আয়ের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি ছোট একটা ঘের করেন মানুষের কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে.আজ সেই প্রলংঙ্ককারী আম্ফানে ভেসে গেল সাতে বসত বাড়ীটা ও লন্ডভন্ড.কোন রকম বাচার আকুতি তার ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে.
নার্গিস,সিডর,আইলা,ফনি,বুলবল,এখন আবার আম্পানঃ
আম্পানের তান্ডবে আবার ও নতুন করে ক্ষত হল দক্ষিনের পানি বন্দী মানুষেরা.যখন দেশে করোনা পরিস্থিতি মানুষ ও গ্রামিন জনপদ কিছুটা বিপর্যস্ত তার সাথে আম্পান হানা দিল লন্ডভন্ড করে দিল.অনেকর কাকড়ার চিংড়ীর ঘের,ঘরবাড়ী সাগরের লোনা জলে বিগত ঘূর্নীঝড়ের একাকারে সর্বশান্ত হয়েছে মানুষ ও গ্রামীন জনপদ.শ্যামনগর থানার উপকূলবর্তী এলাকা গাবুরা,পাতাখালী,প্রতাবনগর,জোড়সিংহ,আংটিহারা ব্যাপক ক্ষতি পরিলক্ষিত হয়েছে,যে সমস্ত পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত করছে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে,
আশায় বুক বেধে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ভাঙ্গন এলাকায় কাজ শুরুর কার্যক্রমও এরই সাথে মাননীয় প্রধান মুন্ত্রীর ত্রান তহবিল হতে ত্রান ও অনুদানের ঘোষনা করা হয়েছে.সেই আশায় নিরন্তন ভবিষ্যৎ এর হাত ছানি,ফিরে আসবে সুদিন ...
0 Comments